গরু রচনা বাংলা ভাষা: আসসালামু আলাইকুম। আজকের এই আর্টিকেলটি লিখব গরুর রচনা সম্পর্কে । আশা করি পুরো আর্টিকেলটি পড়বেন।
এই আর্টিকেলে আমি সেরা তিনটি এবং বাছাইকৃত গরুর রচনা উপস্থাপন করব । শ্রেণী সীমার উপর ভিত্তি করে ছোট এবং বড় দুই ধরনের গরুর রচনা লিখেছি এই আর্টিকেলে। আপনারা প্রয়োজন মত যে কোন একটি পড়ে নিবেন। তবে শুরুতেই ছোটদের জন্য আমি একটি গরু অনুচ্ছেদ উপস্থাপন করেছি।
এই আর্টিকেলটি লিখতে আমাকে প্রেরণা যুগিয়েছে , Noor A Zannat Noor .এই আর্টিকেলের পুরো ক্রেডিট আমার এই ছোট্ট ম্যাডামের 🤪। তো চলুন শুরু করা যাক।
ছোটদের জন্য গরু অনুচ্ছেদ
গরু চতুষ্পদ ও গৃহপালিত জন্তু । এর চারটি পা , দুটি চোখ , দুটি কান ও একটি মুখ আছে । এর একটি লম্বা লেজ আছে । এটি দিয়ে এরা মশা – মাছি তাড়ায় ।
এরা ঘাস , ভুষি ও লতা পাতা খায় । এরা সাদা , কালো , লাল , ধূসর প্রভৃতি রঙের হয়ে থাকে । এরা খুব উপকারী পশু । এরা দুধ দেয় । গরুর দুধ শিশুদের আদর্শ খাবার ।
এরা কৃষকের জমি চাষে । গরু বাংলাদেশের প্রায় সব এলাকাতেই আছে । তাই এদের প্রতি অবহেলা না করে যত্ন নেওয়া উচিত ।
পড়তেই থাকুন, গরু রচনা।
গরু রচনা class 1
সূচনা : গরু একটি গৃহপালিত চতুষ্পদ প্রাণী | যুগ যুগ ধরে গরু মানুষের অনেক উপকার সাধন করে । গরু খুব শান্ত , নিরীহ , উপকারী এবং স্তন্যপায়ী ও তৃণভোজী প্রাণী ।
আকৃতি : গরু সাধারণত তিন – চার হাত লম্বা হয়ে থাকে । এদের সর্বাঙ্গ কোমল লোমে আবৃত । এর দুটি শিং ও দুটি চোখ আছে । শিং দিয়ে গরু আত্মরক্ষা করে । এর একটা লম্বা লেজ আছে ও লেজের শেষ প্রান্তে একটি গোছা লম্বা চুল আছে । তা দিয়ে গরু শরীরের মশা , মাছি তাড়ায় । প্রকৃতি বা
স্বভাব : গরু খুব শান্ত ও নিরীহ পশু । এরা সহজেই পোষ মানে এবং প্রভুভক্ত হয় । গরু সাধারণত পনেরো – বিশ বছরের বেশি বাঁচে না । গাড়ী বছরে একটা করে বাচ্চা প্রসব করে
প্রাপ্তিস্থান : গরু পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই দেখতে পাওয়া যায় । এক্সিমো , গ্রীনল্যান্ড ও অন্যান্য যে সব স্থানে বেশি শীত , সে সমস্ত স্থান ব্যতীত পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই গরু পালিত হয়ে থাকে
। তবে যুক্তরাষ্ট্র নিউজিল্যান্ড অস্ট্রেলিয়া এসব দেশে প্রচন্ড শীত থাকা সত্ত্বেও ্যগরু পালন করা হয় । এসব দেশের আবহাওয়া অনেক বৈচিত্র্যপূর্ণ।
খাদ্য : গরুর প্রধান খাদ্য হচ্ছে ঘাস , ধানের খড় , চালের কুঁড়া ইত্যাদি । এ ছাড়াও লতাপাতা , খৈল , ভুষি , ভাতের ফেন , পানি ইত্যাদি খেয়ে জীবন ধারণ করে ।
প্রকারভেদ : গরু বিভিন্ন রঙের দেখতে পাওয়া যায় । সাদা , কালো , ঈষৎ লাল বা মিশ্র বর্ণের গরু আমরা প্রায়ই দেখে থাকি ।
উপকারিতা / প্রয়োজনীয়তা : গরু আমাদের অনেক উপকার করে । গরুর দুধ অতিশয় সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাদ্য । গরুর দুধ দিয়ে ঘি , মাখন , ছানা , দই , ক্ষীর , সন্দেশ , মিষ্টি ইত্যাদি পুষ্টিকর এবং মুখরোচক দ্রব্য তৈরি হয় । ষাঁড় বা বলদ দিয়ে জমি চাষ করা যায় । গরুর চামড়া দিয়ে জুতা , ব্যাগ , বাক্স ইত্যাদি তৈরি করা হয় এবং শিং ও হাড় দিয়ে বোতাম ও চিরুনি তৈরি হয় ।
উপসংহার : গরুর মতো উপকারী পশু আর নেই । তাই আমাদের গরুর উপকারের কথা বিবেচনা করে তাদের প্রতি আরও বেশি যত্নবান হওয়া উচিত ।
পড়তেই থাকুন, গরু রচনা।
আরো পড়ুন,
- class 8 math solution pdf (অষ্টম শ্রেণি গণিত সমাধান পিডিএফ)
- আমাদের দেশ রচনা। এক হাজার শব্দের মধ্যে রচনা।
- ক্ষারক কাকে বলে।ক্ষার ও ক্ষারকের মধ্যে পার্থক্য|ক্ষারকের বৈশিষ্ট্য
- traffic jam paragraph | 5 best paragraph for traffic jam
গরুর রচনা চতুর্থ শ্রেণীর
ভূমিকা : গরু একটি চতুষ্পদ গৃহপালিত জন্তু। এর দ্বারা মানুষ লাভবান হয় জন্য গরু পালন সারা পৃথিবীতে সমান হারে সমাদৃত হয়ে আসছে। এই প্রাণীর অপকারিতা নেই বললেই চলে । তাই এ প্রাণীকে সবাই খুব ভালোবাসে।
বর্ণনা : গরু একটি মাঝারি বৃহৎ এবং বড় পেট বিশিষ্ট প্রাণী। এটি উচ্চতায় তিন থেকে চার ফুট হয়ে থাকে এবং এর দৈর্ঘ্য পাঁচ থেকে ছয় ফুট হয়ে থাকে। গরুর চারটি চারটি পা , দুটি কান, একটি লেজ ইত্যাদি আছে।
গরুর পুরো শরীর লোম দিয়ে আবৃত। তবে শীত প্রধান দেশগুলোর গরুর গায়ে লোমের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি থাকে।
গরু বিভিন্ন রঙের হতে পারে। যেমন কালো রঙের গরু লাল রঙের গরু কিংবা সাদা রঙের গরু। এছাড়াও গরুর দেহ মিশ্র রং এর হতে পারে।
গরুর লেজ সাধারণত লম্বা হয়। গরুর লেজের শেষ প্রান্তে এক গোছা চুল থাকে। চুলসহ এই লেপ্স দিয়ে গরু তার দেহে মশা মাছি তারায়।
এদের মুখের নিচের বাটিতে সাধারণত এক সারি দাঁত থাকে। পূর্ণবয়স্ক হলে গরুর উপরের পার্টিতে দাঁত গজায়। গরুর গলদেশে নরম লোম দিয়ে ঢাকা এক প্রকার মাংসল চামড়া থাকে।
পৃথিবীর প্রায় সব দেশে গরু পাওয়া যায়, এদের মধ্যে অন্যতম দেশগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত ,পাকিস্তান অস্ট্রেলিয়া ,ইংল্যান্ড, ইউরোপ ইত্যাদি। তবে যেসব দেশে ১২ মাসের শীত পড়ে সে সব দেশে গরু পালন করা হয় না।
স্বভাব এবং খাদ্য: গরু অত্যন্ত শান্ত ও প্রাণী। এরা লোকালয় থেকে দূরে যেতে চায় না। গরু সাধারণত ২০ বছরের মতো বাঁচে। গরু ঘাস ও লতা পাতা বিচালি, খৈল, ভাতের মার , ভুষি খেয়ে জীবন যাপন করে। গরু প্রথমে খাবার গিলে ফেলে এবং পরবর্তীতে সেটি মুখে এনে জাবর কাটে।
প্রকারভেদঃ গরুর অনেকগুলো প্রকারভেদ রয়েছে। এদের মধ্যে ফ্রিজিয়ান শাহিওয়াল অস্ট্রেলিয়ান ইত্যাদি গরু উল্লেখযোগ্য। তবে স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন রকমের গরু দেখা যায়। বাংলাদেশের গরু গুলো তুলনামূলক আকারে ছোট এবং সহজে পালনযোগ্য।
উপকারিতা: গরু আমাদের দুধ দেয় যা এক ধরনের সুষম খাদ্য। গরুর গোবর এক ধরনের জৈব সার। গরুর গোবর ব্যবহার করে জ্বালানি তৈরি করা যায়।
উপসংহার: গরু আমাদের দেশের জাতীয় সম্পদ। তাই এর পালন সংরক্ষণ এবং রক্ষণাবেক্ষণ আমাদের দায়িত্ব।
পড়তেই থাকুন, গরু রচনা।
গরু রচনা class 5
ভূমিকা : গৃহপালিত পশুদের মধ্যে গরু সবচেয়ে উপকারী । কেবল আমাদের এই কৃষিপ্রধান বাংলাদেশেই নয় , পৃথিবীর সব দেশে গরুর অত্যন্ত সমাদর । অত্যন্ত উপকারী প্রাণী বলে গরু সবাই ভালোবাসে ।
বর্ণনা : গরু দেখতে স্থূলকায় প্রাণী । এটি সাধারণত তিন – চার হাত লম্বা এবং দুই – তিন হাত উঁচু হয়ে থাকে । এর শরীর লোমে আবৃত । মুখ লম্বা ও কান দুটো ঈষৎ চাপা ।
এর দুটি শিং ও দুটি চোখ আছে । শিং দ্বারা গরু আত্মরক্ষা করে । গরুর একটা লম্বা লেজ আছে এবং লেজের শেষ প্রান্তে এক গোছা লম্বা চুল আছে । গরু লেজ দিয়ে মশামাছি তাড়ায় । গরুর পায়ের অগ্রভাগে শক্ত খুর বিদ্যমান ।
খুর দুই ভাগে বিভক্ত । গরুর গলদেশে কোমল লোমাবৃত একপ্রকার মাংসল চামড়া থাকে । এটি ‘ গলকম্বল ‘ নামে অভিহিত । এদের মুখের নিচের পার্টিতে একসারি দাঁত আছে । ওপরের পাটিতে কোনো দাঁত নেই । গরু নানা বর্ণের দেখতে পাওয়া যায় । এদের মধ্যে সাদা , লাল , কালো এবং কতকগুলো মিশ্র বর্ণের হয়ে থাকে ।
পৃথিবীর প্রায় সব দেশে গরু পাওয়া যায় । বাংলাদেশ , ভারত , পাকিস্তান , আমেরিকা , ইউরোপ , ইংল্যান্ড , অস্ট্রেলিয়া , রাশিয়া প্রভৃতি দেশে গরু পাওয়া যায় । বনজঙ্গল ও পাহাড়ে এক ধরনের বন্য গরু পাওয়া যায় । এদের মধ্যে নীলগাই প্রসিদ্ধ ।
স্বভাব ও খাদ্য : গরু অতিশয় শান্ত এবং নিরীহ প্রাণী । এরা সহজেই পোষ মানে । গরু খুব শক্তিশালী এবং কষ্টসহিষ্ণু । গরু সাধারণত ১৫-২০ বছর বাঁচে । গরুর বাচ্চাকে বাছুর বলে । গাভি তার বাচ্চাকে খুবই ভালোবাসে ।
গরু ঘাস , খড় , লতাপাতা , বিচালি , কুঁড়া , খৈল , ভাতের মাড় , ভুসি ইত্যাদি খেয়ে জীবনধারণ করে । গরু প্রথমে যেকোনো খাবার গিলে ফেলে । পরে বিশ্রামের সময় গিলে ফেলা খাবার মুখের মধ্যে এনে চিবাতে থাকে । গরুর এরকম চিবানোকে বলে জাবরকাটা ।
উপকারিতা : উপকারিতার দিক থেকে গরুর অবস্থান শীর্ষে । গরুর দুধ খুব পুষ্টিকর ও উপাদেয় খাদ্য । গরুর দুধ থেকে দই , ছানা , মাখন , ঘি , ক্ষীর , সন্দেশ ও আরও নানা রকমের মিষ্টি তৈরি হয় ।
গরুর গোবর উৎকৃষ্ট সার হিসেবে ব্যবহৃত হয় । গোবর শুকিয়ে ঘুটে করে জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা যায় । বর্তমানে গোবর থেকে গ্যাস তৈরি করে জ্বালানি সমস্যা সমাধানের ব্যাপক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে ।
উপসংহার : গরু আমাদের জাতীয় সম্পদ । সুজলা – সুফলা বাংলাদেশে নানা কারণে গরুর খাদ্যের জন্য প্রয়োজনীয় গো – চারণভূমি নেই , গরুর প্রতিদিনের খাবারও ঠিকমতো দেওয়া হয় না । ফলে আমাদের দেশে অধিকাংশ গরুই কৃশ ও দুর্বল । আমাদের দেশে গো – চিকিৎসকের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম । তাই জাতীয় উন্নয়নে এবং পশুর প্রতি যথাযথ আচরণে আমাদের সচেতন ও যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন ।
source: Wikipedia
আজকে এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন। আর আমাদের গরু রচনা গুলো কেমন লাগলো তার নিচে কমেন্ট করে জানাবেন।
আরো পড়ুন,